Search

Tuesday, December 20, 2016

সূত্রপাতঃ ১।

সূত্রপাতঃ ১।
আমাদের জীবনে যা কিছু শ্রেষ্ঠ দিক- -- তা সে, সমাজ, দর্শন, জীবনসূত্র, পারিবারিক নিয়ম শৃঙ্খলা সব কিছুই একটা বিশেষ ধর্মের ভিত্তিতে স্থাপিত।
আর্য জাতীর যাকিছু জীবন দর্শন সবই বেদ, উপনিষদ, পুরান ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে ব্যাক্ত। আর্য ঋষিগণ অনুভব করেছিলেন, সাধারন মানুষের জীবনকে সুনিয়ন্ত্রিত করতে হলে তাদেরকে ধর্মীয় নিয়মে বাঁধতে হবে। তাই আমরা প্রাচীন ইতিহাস, দর্শন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, বিবাহ, দাম্পত্য জীবন সব কিছুই ধর্মের মধ্যে দিয়ে দেখতে পাই।
বিবাহ তাই আমাদের দাম্পত্য ধর্ম। স্ত্রী তাই সহ ধর্মিনী অর্থাৎ স্বামীর ধর্ম আচরনকে সে সহযোগীতা করে।
প্রাচ্য মুনি ঋষিগণ তাঁদের গভীর ধ্যানে প্রাপ্ত জ্ঞানকে বেদ, পুরান, ইত্যাদি গ্রন্থের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন যা আমরা বিশ্বাস করি সেই অমীয় বানীসমুহ স্বয়ং ভগবানের এবং বিভিন্ন দেবদেবীর মুখনিঃশৃত বানী হিসাবে।
বিবাহ, দাম্পত্য জীবন এবং রতিপকৃতিকে সুখমণ্ডিত করবার জন্য এবং এ বিষয়ে বিষদ জ্ঞান দেবার জন্য যে সব শাস্ত্র রচিত হয়েছে তাও ভগবান বা দেবদেবীর মুখনিঃসৃত বানী হিসাবেই ব্যক্ত হয়েছে। তাই রতি শাস্ত্র, কামশাস্ত্র, কোক শাস্ত্র প্রভৃতি গ্রন্থকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে দেখে থাকি।
বিবাহ বা দাম্পত্যজীবনকে সুখমন্ডিত করবার জন্য এবং জীবনকে খাপ খাইয়ে চলার নিয়মতান্তিকতার জন্য এসমস্ত শাস্ত্র অতুলনীয়।
পদ্মপুরানের একটি অংশ হলো রতিশাস্ত্র। এটি কোনভাবেই পাশ্চাত্য নগ্ন যৌন আলোচনার মত অশ্লীল নয়।
রতিশাস্ত্রে রয়েছে চার জাতীয় পুরুষ বর্ননা, চার জাতীয় নারী বর্ননা, কোন শ্রেনীর পুরুষের সাথে কোন শ্রেনীর নারীর দাম্পত্য এবং যৌন জীবন সুখ মন্ডিত হবে, শ্রেষ্ঠ সন্তান নির্নয় পদ্ধতি, বিবাহযোগ্য পাত্র পাত্রী নির্বাচন সহ সংসার জীবনের নানা দিক অত্যান্ত সুন্দর ভাবে বর্ণিত রয়েছে। বলে রাখা ভাল রতি শাস্ত্র নিয়ে এখানে যা কিছু দেয়া হবে তা স্বয়ং ভগবান শিব কর্তৃক আদ্যাশক্তি দেবী পার্বতির নিকট বর্ণিত নারী পুরুষের সুখ মিলন সম্পর্কীত বানী। সুতরাং এটাকে অশ্লীল বলার কোন আবশ্যকতা নেই। বরং এই বিষয় সমুহ অনুসরন করতে পারলে প্রতিটি দাম্পত্য জীবন হবে মহা সুখের। আর সংসার জীবনেই মানব উপলব্ধি করতে পারবে স্বর্গীয় সুখ।

No comments:

Post a Comment