Search

Tuesday, December 20, 2016

উদ্দেশ্যঃ

আমরা সামাজিক জীব। মানুষ হিসাবে আমারা সমাজে বাস করি। সেই সাথে আমরা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি বাবা মা তার সন্তানদের মানুষ করবার জন্য প্রানান্ত চেষ্টা করেন। বাবা মা উভয়ে সন্তান গর্ভে ধারনের পর থেকে তাকে সংসার জীবনে প্রবেশ করাতে দীর্ঘ সময়ের এবং সাধনার আবশ্যকতা আছে। বাবা মা যত শ্রমই দেননা কেন তারা কিন্তু ক্লান্ত হন না। তারা তাদের সন্তানের মঙ্গল কামনায় করেন। সব সময় প্রার্থনা করেন আমার সন্তান সুখে থাক। বাবা মায়ের এই চাওয়া অবশ্যই গুরুত্ব বহন করে। তাদের সন্তান যখন বড় হয় তখন সেও চায় তার বাবা মায়ের সুখ স্বাচ্ছন্দের ব্যবস্থা করবে। সে দেশের এবং দশের, বন্ধুবান্ধবদের জন্য কিছু করবে এধরনের নানা আশা নিয়ে সে স্বপ্ন দেখতে থাকে। হয়তো তার কর্মজীবনে প্রবেশ হলো এবার বাবা মা তাকে সংসারে প্রবেশ করানোর জন্য তার বিবাহের ব্যবস্থা করলেন। ধুমধাম করে বিয়ে হল। কিছুদিন পর দেখা যায় সেই সন্তান তার সকল আশাকে মাটিচাপা দেয়। প্রচন্ড অশান্তির কারনে তাকে তার পরিবার থেকে আলাদাভাবে বসবাস করতে হয় শুধুমাত্র স্ত্রীর সুখ স্বাচ্ছন্দ দেখতে হয়। সকলের জীবনে এমন হয় তা নয়। কতিপয় সংসারে নতুন বধু এসে স্বামীকে তার অনুগত হতে বাধ্য করে। বেচারা আরও বেশি অশান্তি হতে পারে এ ভয়ে বা প্রতিবেশি জানলে ছিছি করবে এভয়ে কাউকে কিছু না বলে হয়তোবা স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করে। যখন সে ব্যর্থ হয় তখন তার আর তেমন কোন রাস্তা খোলা থাকেনা আলাদাভাবে বসবাস করা ছাড়া।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা বলি ভাগ্যে ছিল তাই হয়েছে। বা জন্ম মৃত্যু বিয়ে এই তিনটি ঈশ্বরের হাতে।
সৃষ্টি রহস্য থেকে শুরু করে সকল কিছুই ধর্মীয় আলোচনা বা বেদ, পুরান, ভাগবত, গীতাতে বিশদ বিবরন পাওয়া যায়।
তেমনি সংসার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমুহও "বৃহৎ রতি শাস্ত্রে" বর্ণিত আছে। যা স্বয়ং ভগবান শিব এবং আদ্যাশক্তি মহামায়া দেবি দূর্গা কর্তৃক আলোচিত।
কেউ যেন সংসার জীবনে অশান্তিতে না ভোগে সে উদ্দেশ্যেই এই গ্রুপে পর্যায়ক্রমে বৃহৎ রতি শাস্ত্র থেকে আলোচনা করা হবে।
আমার চাওয়া এই যে, আমরা যারা ধর্ম বিশ্বাস করি তারা সংসার জীবনে প্রবেশ এবং কিভাবে সুখি জীবনযাপন সম্ভব, শাস্ত্র সংসার জীবন পালনে কি বলে তা জেনে বুঝে সংসার জীবনে প্রবেশ করুন।
যারা গ্রুপে আছেন তারা ১৬ বছর বয়সের সকল ছেলে মেয়েদের এই গ্রুপে যুক্ত করাবেন। যেন তারাও কিছু শিখতে পারে।

No comments:

Post a Comment